ঈশ্বরদীতে যাত্রী উঠানো নিয়ে গোলযোগের ঘটনায় সিএনজি চালক মিজানুর রহমান সুজন (৩৫) নিহত হয়েছেন। এঘটনায় অটোরিকশা চালক কাসেমের (৬০) বিরুদ্ধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া গোলচত্তর এলাকায় মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। নিহত মিজানুর রহমান সুজন শেখ পাড়া মৃধাপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোলচত্বরে অটোরিকশায় যাত্রী উঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালক সুজনের সাথে অটোরিকশা চালক কাশেমের কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় বড় লোহার তালা দিয়ে সুজনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মিজানুর রহমানকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎষক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অভিযুক্ত অটো রিকশাচালক কাশেমের (৬০) বাড়ি দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামে বলে জানা গেছে।
এঘটনায় ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দীন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুজনের মরদেহ সরেজমিন পর্যবেক্ষণ এবং দাশুড়িয়া গোলচত্তর পরিদর্শন করেন।
ওসি শেখ নাসীর উদ্দীন সন্ধ্যায় জানান, এখনো ঘটনাস্থল দাশুড়িয়া গোলচত্বরে পুলিশসহ অবস্থান করছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক ও যানবাহন চলাচল করছে। এঘটনায় আর কে কে জড়িত সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং আসামী গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে। এখনও থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।