রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানালেন মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক নেতা গোলাম ফারুক মজনু বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান আবহাওয়ার বৈরীতায় উত্তাল সাগর, ঝড়ের আশঙ্কা জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

দৌলতপুর উপজেলায় ভারতীয় তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা হয়নি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও!

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি / ২২৯ শেয়ার
প্রকাশিত : বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপির বাহিরমাদী গ্রামের বীশু প্রামানিকের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন্দ প্রামানিক (যার ভারতীয় নং-এফ-৬৬) এর সম্মানী ভাতা হয়নি দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরেও।

জানাযায়,চাঁন্দ প্রামানিক দেশ স্বাধীন হওয়ার বছর খানেক পরে নিজ গ্রাম দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদী ছেড়ে চলে যান পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর নামক গ্রামে এবং সেখানে সংসার পেতে তার জীবন যাপন শুরু করেন। চাঁন্দ প্রামানিক এখন ১পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের বাবা। বৃদ্ধ বয়সেও দিন মজুরী করেই অভাব অনটনে চলে তার সংসার। গত ২০১৭ সাল থেকে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই শুরু হলে খোঁজ শুরু হয় ভারতীয় তালিকাভূক্ত দৌলতপুরের মুক্তিযোদ্ধা এফ-৬৬ নং ধারী ব্যাক্তির, আর সেখান থেকেই উঠে আসে চাঁন্দ প্রামানিকের নাম। কিন্তু নাম উঠে আসলেও বাধ সাধে নিজেকে প্রমান করার যুদ্ধে। দীর্ঘ ৩ বৎসর বার বার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়নপত্র সহ জন্মনিবদ্ধন কার্ড জমা দিয়েও নতুন করে নিজেকে প্রমান করার মুক্তিযুদ্ধে হেরে গিয়েছেন ভারতীয় তালিকাভূক্ত ঐ বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন্দ প্রামানিক। এদিকে বাংলাদেশ সরকারের সীকৃতি সরুপ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে ভারতীয় তালিকা (সেক্টর)-এ কুষ্টিয়ার যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেখানে তার নাম ৫১২ নং ক্রমিকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ঐ তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত সম্মানী ভাতা পায়নি এই অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানী ভাতা না পাওয়ার কারন জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন্দ প্রামানিক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমার দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে গেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করে সীকৃতি সরুপ যে সম্মানী ভাতা দিতেছে যেটা আমি প্রাপ্য যা আইজ পর্যন্ত পায়নি। তিনি আক্ষেপ করে আরোও বলেন, সম্মানী ভাতা চালু করার জন্যে দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে ৩-৪ বার আমার সব মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র সহ আবেদন করার পরেও ভাতা চালু হয়নি। তাই আর সম্মানী ভাতার জন্য আবেদন করবো না তবে বিচার চাই যারা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করছে এবং ভাতা উত্তোলন করতে যারা সাহায্য করেছে।

এব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার আলী বলেন, হয় তো তার নাম ঠিকানার বানানে কোন সমস্যা আছে সে কারনেই বার বার আবেদন করা হলেও আবেদনটি মঞ্জুর করা হয়না। নাম ঠিকানার বানানে কোন সমস্যা না থাকার পরেও সম্মানী ভাতার আওতায় না আসার কারন কি সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুধু আবেদন গ্রহণ করি এর বেশি কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই বলে তিনি জানান।

 

 

Facebook Comments Box


এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
Developed by: Agragamihost.Com