ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনের দিন (৩০ জানুয়ারি) দুই সাংবাদিক মাসুদ রানা ও নুরুজ্জামানের ওপর হামলা, মারধর করে আহত করা ও এনটিভির ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনায় গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার শিকার মাসুদ রানা বাদী হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি গৌরীপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন। গৌরীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, গত ৩০ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে দুপুর পৌনে একটার দিকে পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের শেখ লেবু স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন মাসুদ রানা। এ সময় তার সাথে ছিলেন গাজি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কাজী মোঃ মোস্তফা, ৭১ টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন নুরুজ্জামান, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি বিপ্লব বসাক, একুশে টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি আতাউর রহমান জুয়েল, মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মতিউল আলম, দৈনিক করোতোয়া পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নজিব আশরাফ, মানবজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ফখরুল আকন্দ, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আঞ্চলিক প্রতিনিধি সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, দৈনিক জনতা পত্রিকার গৌরীপুর উপজেলা প্রতিনিধি শেখ মোঃ বিপ্লব, গৌরীপুর উপজেলা প্রতিনিধিসহ অনেকেই পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে মেয়র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম হবির সমর্থকদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সেই সংর্ঘষের ভিডিও ধারন করতে গেলে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সংর্ঘষকারীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি, রাম দা দিয়ে মাসুদ রানা ও একাত্তর টিভির ক্যামেরাপারসন নুরুজ্জামান এর উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে মাসুদ রানার পা, পিট ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং নুরুজ্জামান এর শরীরেও বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত কাটা জখমসহ নিলাফুলা জখম করে।
কেন্দ্রে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকরা তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গৌরীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। গৌরীপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের চিকিৎসা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।