দ্বিধা-সংশয় কাটিয়ে দিন দিন করোনা ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। তার উপর বয়সসীমা ৫৫ থেকে ৪০-এ নামিয়ে আনায় আরো বাড়ছে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নেয়ায় মানুষ উৎসাহিত হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
শুরুর দিকের নানা দ্বিধা-সংশয় কাটিয়ে টিকাকেন্দ্র গুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। গণহারে টিকা প্রয়োগের প্রথম দিন রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে মোট টিকা প্রয়োগ করা হয় ৩১ হাজার ১৬০ জনের দেহে। এরপর প্রতিদিনই তা বাড়তে থাকে আশাব্যঞ্জক হারে। টিকা প্রয়োগের প্রথম সপ্তাহের সবশেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার একদিনে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ছাড়ায় দুই লাখ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বেনজীর আহমেদ, সব শ্রেণীর নাগরিকের জন্য টিকা উন্মুক্ত থাকার বয়সসীমা ৫৫ থেকে নামিয়ে ৪০ করার সরকারি সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকা গ্রহণও উৎসাহিত করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে কর্তৃপক্ষ চায়, দৈনিক টিকার হার তিন লাখ ছাড়িয়ে নিতে।
প্রতি মাসে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা আমদানির বাইরেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার।
সব শ্রেণীর মানুষকে টিকার আওতায় আনতে টিকাকেন্দ্র আরো সম্প্রসারিত ও নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘টিকা কেন্দ্রকে যদি আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। যেখানে মানুষে সহজে আসতে পারবে। আর নিবন্ধনটা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করতে হবে। ‘
দেশে টিকা গ্রহণের পর এখনো পর্যন্ত কারো গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।