আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার এলাকায় মানুষের মাঝে চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে তার বড় ভাই ইউনুস আলী খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক এবং আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে তার ভাই মোঃ তোজাম্মেল হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ এপ্রিল। ওই ছয়টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। শুক্রবার ওই প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ওই ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে গুলিশাখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে তার বড় ভাই ইউনুস আলী খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক এবং আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে তার ভাই মোঃ তোজাম্মেল হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। ভাই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার এলাকার মানুষের মাঝে হাস্যত্মক, চা ল্য এবং ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
গুলিশাখালী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, নৌকার মনোনয়ন পেয়েও বড় ভাই ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়াটা রহস্যজনক।
ওই ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন, ভালোই চলছে। বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাই প্রার্থী হয়েছে। আপন দুই ভাই প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা পরেছে মহা বিপাকে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, ভাইয়ের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় আমি প্রার্থী হয়েছি।
অপরপ্রার্থী মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বড় ভাই গোলাম ফারুকের প্রার্থীতা বাতিল হলে যেন আমার পরিবার থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে সমস্যা না হয় তাই প্রার্থী হয়েছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুই ভাই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।