আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ষোল হাওলাদার এলাকার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ বুধবার রাতে ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ১০ গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। নষ্ট হয়েছে রবি ফসল ও পানের বরজ। বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ মাটির বস্তা ফেলে ওই বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।
জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলেও কমেনি পায়রা নদীতে পানির বৃদ্ধির প্রভাব। গত চার দিন ধরে অব্যাহতভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপজেলার নিম্না ল তলিয়ে গেছে ও বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। বুধবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ষোল হাওলাদার এলাকার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে হরিদ্রাবাড়িয়া, কলাগাছিয়া, গোজখালী, ক্লাবঘর, গুলিশাখালী, কালিবাড়ী, ফকিরখালী ও আঙ্গুলকাটাসহ ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছেন বলে দাবী করেন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম।
কলাগাছিয়া গ্রামের শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে গেছে। এতে ১০ গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। তিনি আরো বলেন, দ্রুত বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে আরো ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মালেক মাষ্টার বলেন, বুধবার রাতে জোয়ারের পানির চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে রবি ফসল ও পানের বরজের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
পান চাষি শ্যামল শীল বলেন, বরজে পানি ঢুকে পান গাছ পচে যাচ্ছে।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, পাইলিং দিয়ে বস্তায় মাটি ফেলে বাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, বাঁধ সংস্কার কাজ চলছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাধ সংস্কার কাজ শেষ হবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আলম বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ পরিদর্শনে লোক পাঠিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছি।