মোঘল সুমন শাফকাত, (বরিশাল) বানারীপাড়াঃ
বানারীপাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েই চলছে অবৈধ বৌ গাড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি চালিত যানবাহন। অবৈধ এসব বাহন গুলো অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে তুলে দিচ্ছেন অর্থ লোভি এক শ্রেনীর মালিক পক্ষ। কোন প্রকার পূর্ব প্রশিক্ষন ছাড়াই এসব বাহন নিয়ে রাস্তায় নেমে পরছে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত। দেখাযায় কোনও কোন সময় গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে এসব অদক্ষ চালকরা রাস্তার বাহিরে গিয়ে পথচারী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করছে। এ কারনেই বিভিন্ন সময় ঘটছে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখাগেছে এসব ওর্য়াকসপে নিয়ম নীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে অবৈধ এ গাড়িগুলো তৈরি করছেন দিনের পর দিন। এ উপজেলায় অবৈধ গাড়ি তৈরির মূল হোতা হিসেবে পরিচিত আছে আনোয়ার নামের একজন মেকানিক। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বাহন বৌ গাড়ি তৈরির ওয়ার্কসপ রয়েছে বেশ কয়েকটি। এদের মধ্যে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানাগেছে এসব ওয়ার্কসপে প্রতিমাসে গড়ে ১৮/২০ গাড়ি তৈরি হয়। আর নিষিদ্ধ এ গাড়ি তৈরি করতে বিশেষ জায়গা ম্যানেজ করেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। বৌ নামক গাড়িগুলো তৈরিকরা নিষিদ্ধ হলেও ম্যানেজ প্রক্রিয়ার ফলে ছোট্ট এই পৌর শহরের সড়কে প্রতিদিনই নেমে পরে নতুন গাড়ি। একটি পরিসংখ্যান ও বানারীপাড়া রিক্সা, ভ্যান ও বৌ গাড়ির শ্রমিক সংগঠন সূত্রে জানাগেছে বর্তমানে পৌর শহরে ভোরের আলো নামতে না নামতেই প্রায় ৭শতাধিক গাড়ি সড়কে নেমে পরে । এদের মধ্যে বৌ গাড়ির সংখ্যাই বেশি। আরও রয়েছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান, ম্যাজিক গাড়ি, সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ ও নিষিদ্ধ টমটম ও ট্রলি। ছোট্ট এ শহরে ৭ শতাধিক গাড়ির আসা-যাওয়ায় সব সময় প্রধান সড়কে জ্যাম লেগেই থাকে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধরা। অপরদিকে সড়কে এতো বিপুল পরিমান গাড়ি চলাচল করলেও বরিশাল বিভাগের যেকোন এলাকার চেয়ে এখানকার চালকরা দিগুন ভাড়া আদায় করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এ কারেনই এখানকার সড়কে এতো পরিমান গাড়ি চলছে। জানাগেছে কোন প্রকার জবাবদিহিতা না থাকার ফলে এ উপজেলার হালকা যানবাহনের চালক বা মালিকদের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে হালকা যানবাহনে ডিজিটাল হর্ণ লাগানোর ফলে পথচারিসহ যাত্রীদের শ্রবণশক্তি দিনের পর দিন মারাত্বক ঝুঁকির দিকে পতিত হচ্ছে। এ ছাড়াও রাতের বেলায় ওই সব গাড়ির অধিক আলো সৃষ্টিকারী বাতি জালানোর ফলে বিপরিত দিক থেকে আসা বাহনগুলোর চালকরা প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।