মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে একজনের ও রাতে অপরজনের মৃত্যু হয়। গতকাল রবিবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে মানিকগঞ্জে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হলো। আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া একজনের (৪০) বাড়ি ঘিওর উপজেলার বরটিয়া ইউনিয়নে এবং অপরজনের (৫১) বাড়ি সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নে।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন ঘিওরের ৪০ বছর বয়সী ওই নারী। শনিবার বেলা দুইটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে একই দিন পৌনে দুইটার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে সদর উপজেলার অপর এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বিকেলে চারটার ওই নারীর মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, মৃত ওই দুই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জে করোনায় সংক্রমিত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জে মোট ৫ হাজার ৩০৪ জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৮২ জনের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৯৬ জনের প্রতিবেদন করোনা পজিটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ২২ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং অন্যরা নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।